শাওমি ফোন রাতারাতি মার্কেট এ রাজত্ব করার রাজ সম্পর্কে জানুন?
শাওমি ফোন কিভাবে রাতারাতি বাজার দখল করে নিল?
প্রযুক্তির এ বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন ছাড়া যেন এক মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না। যেখানে কল্পনা করতেই কষ্ট হচ্ছে সেখানে বাস্তবে মোবাইল ফোন ছাড়া বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব।
বর্তমান বিশ্বের চতুর্থ স্মার্টফোনে নির্মাতা Xiaomi (শাওমি) মাএ কয়েক বছর আগেও ছিলো ছোট একটি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। বর্তমান বিশ্বের স্মার্টফোন বিক্রির প্রতিযোগিতামূলক বাজার Xiaomi কিভাবে চতুর্থ স্থানে এসে দাড়ালো চলুন তা সম্পর্কে জেনে আসি।
বর্তমান বিশ্বের চতুর্থ স্মার্টফোনে নির্মাতা Xiaomi (শাওমি) মাএ কয়েক বছর আগেও ছিলো ছোট একটি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। বর্তমান বিশ্বের স্মার্টফোন বিক্রির প্রতিযোগিতামূলক বাজার Xiaomi কিভাবে চতুর্থ স্থানে এসে দাড়ালো চলুন তা সম্পর্কে জেনে আসি।
শাওমি ছিল চীনের একটি ইলেকট্রনিক সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার কোম্পানি যা বর্তমান এসে দাঁড়িয়েছে বিশেষ চতুর্থ বৃহওম স্মার্টফোন নির্মাতা। শওমির পথ চলা শুরু হয় ২০১০ সালে, এবং ২০১৪ সালে অর্থৎ মাএ ৪ বছরের মধ্যেই তারা চয়নার প্রযুক্তি বাজারে অনেক বিপ্লব ঘটায়।
তারা ২০১৪ সালের মধে চয়নার সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়। ২০১১ সালে Xiaomi তাদের প্রথম স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ে এবং মাএ ৩ বছরে অর্থাৎ ২০১৩ সালে তারা ১ কোটি স্মার্টফোন বিক্রি করে ফেলে এবং কি ২০১৪ সালে ৬ কোটি এবং ২০১৫ সালে ৮ কোটি স্মার্টফোন তারা বিক্রি করে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারী তে Xiaomi "Redmi" নামক নামক একটি স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার সাথে সাথে মাএ ২ মিনিটের মধ্যেই সব ফেন বিক্রি হয়ে যায়।
বিশ্বের বড় বড় ফোন কোম্পানীদের পিছে ফেলে Xiaomi আলাদিনের জাদুর মতো মাএ ৫ বছরের এই সফলতা সত্যিই আশ্চর্য কর। অতীতে কোন ইলেকট্রনিক সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার কোম্পানী এত দ্রুত গতিতে সফলতা লাভ করতে পারে নি।
স্মার্টফোন বিক্রির প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বড় বড় স্মার্টফোন বিক্রির প্রতিষ্ঠান এর রাজত্ব ঠেকাতে Xiaomi দিন দিন আবিষ্কার করছে নতুন নতুন মডেল, তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সবচেয়ে সেরা ফোন সর্বনিম্ন দামে বিক্রি করে মার্কেটে তাদের বক্তা শ্রেণি তৈরি করা।
Samsung, Apple এর সবচেয়ে সেরা ফোন গুলো তৈরি করতে খরচ হয় ১৫০-২০০ মার্কিন ডলার কিন্তু এসব ফোন বিক্রি করা হয় ৮০০-১০০০ মার্কিন ডলার। এসব ফোন এর গুদাম, বাজারজাতকরণ, বিজ্ঞাপন এবং খুচরা বিক্রেতাদের লভ্যাংশ ইত্যাদি রাখার পরও এসব ফোন এর দাম বেড়ে যায় উৎপাদন খরচ থেকে ৪,৫ গুন বেশি। কোম্পানি গুলোর ঐশ্বর্য দরে রাখতে তাদেরকে বিজ্ঞাপনে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয় যা তারা বক্তার কাছ থেকে রেখে দেয় স্মার্টফোন এর দামের সাথে।
কিন্তু শাওমি এসব অতিরিক্ত খরচ বাদ দিয়ে তার প্রতিযোগীদের চেয়ে অর্ধেক দামে তাদের সেরা ফোনগুলো বাজারে বিক্রি করে (মাএ ৩০০-৪০০ মার্কিন ডলার)। শাওমি তাদের ফোনের দাম উৎপাদন খরচ থেকে মাত্র 5 ডলার বেশি রাখে।
যদিও ফোনের গুণগতমান অন্যান্য ফোনের থেকে কোন অংশে কম নয়। শাওমি তার ভক্তদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিয়ে কিছুদিন পর পরই তাদের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করে। থার্ড পার্টি কোন ওয়েবসাইট এ বিক্রি না করে শাওমি তাদের বেশিরভাগ ফোনই তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিক্রি করে, যার ফলে তাদের এইদিক দিয়ে আলাদা গুদাম খরচ বেছে যায়।
শাওমি তাদের বিজ্ঞাপন এর মূল স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াকে, যার ফলে তারা বিজ্ঞাপনে বেশি টাকা খরচ করতে হয় না।
শাওমির অগ্রগতি দেখে চায়না এখন অনেক কোম্পানি তাদেরকে অনুসরণ করছে। Huawei শাওমির সাথে প্রতিযোগিতা করতে Honor নামে একটি নতুন ব্র্যান্ড আবিষ্কার করেছে।
ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়, আর সেই ইচ্ছা কে বাস্তবে রূপ দিতে আলাদিন দৈতের প্রয়জন হয় না, লাগে শুধু মেধা, দৈর্যশক্তি আর পরিস্রম।


No comments